,

আজ নির্বাচন :: ভোটারদের দিকে তাকিয়ে ৬ তারকা

সময় ডেস্ক : রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচন দেশের শোবিজ অঙ্গনের জন্যও বিশেষ। কারণ এই আসরে প্রার্থী হয়েছেন ছয়জন তারকা। তারা হলেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আসাদুজ্জামান নূর, ফেরদৌস আহমেদ, মাহিয়া মাহি, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, ডলি সায়ন্তনী ও নকুল কুমার বিশ্বাস। এই ছয় তারকার মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর ও মমতাজ পুরনো সংসদ সদস্য হলেও এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে লড়ছেন ফেরদৌস, মাহি, ডলি ও নকুল কুমার।
নির্বাচন উপলক্ষে তারকারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, প্রচারণা চালিয়েছেন, ভোট চেয়েছেন মাসজুড়ে। এখন কেবল অপেক্ষা, ভক্ত নয়- ভোটারের জন্য। রবিবার দিনজুড়ে ভোট শেষে কার কার ভাগ্যে রয়েছে কাঙ্খিত জয়, তা জানা যাবে রবিবার (৮ জানুয়ারি) রাত নাগাদ।
নীলফামারী-২ আসনে টানা পাঁচবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে প্রার্থী হলেন অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এবারও তিনি নৌকা মার্কায় লড়ছেন। প্রচারণায় গিয়ে নূর বলেন, ‘সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়তাবাদী, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে যেমন ছড়িয়ে দিতে চাই, তেমনি আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও একই লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।’
শেষ মুহূর্তে এসে ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে চলে আসুন। সুস্থ-সুন্দর পরিবেশে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। কারণ নৌকার জয় মানে বঙ্গবন্ধুর জয়, স্বাধীনতার স্বপক্ষের জয়, আর নৌকার জয় মানেই আমার জয়।’
নতুন প্রজন্মের কাছেও একটি আর্জি রেখেছেন ফেরদৌস। সেটা এরকম, ‘নতুন প্রজন্মের যারা এবার প্রথম ভোট দেবে, তাদের উদ্দেশ্যে আমার আহ্বান, জীবনের প্রথম ভোটটা যেন স্বাধীনতার স্বপক্ষে দেয়। কারণ তারাই আগামীতে বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবে।’
জনপ্রিয় ফোকশিল্পী মমতাজ বেগম নৌকার প্রার্থী হয়েছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনে। ২০১৮ সাল থেকে এই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে মমতাজ বলেন, ‘৭ তারিখে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় সবাই ভোট দেবেন। কারও বাধা-নিষেধ শুনবেন না। আপনাদের সঙ্গে আমরা আছি। কোনও হুমকি-ধামকিতে পিছু হটবেন না।’
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কিন্তু পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে। গতকাল ইশতেহার ঘোষণার সময় তিনি বলেছেন, ‘আমি সিনেমা থেকে মোটামুটি অনেক দূরে চলে এসেছি রাজনীতির কারণে। আমি জনগণের কাছাকাছি থাকতে চাই। এখানে যারা প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন, তারা সবাই ঢাকায় যান। চার-পাঁচ দিন করে থাকেন। যেহেতু ঢাকায় আমার কর্মক্ষেত্র, সপ্তাহে হয়তোবা দু-তিন দিন আমাকে যেতেই হবে। কিন্তু একটা বড় সময় আমি এখানেই থাকব। জনগণের কাছেই থাকব।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী হিসেবে পাবনা-২ আসনে লড়ছেন গায়িকা ডলি সায়ন্তনী। তার প্রতীক নোঙর। প্রচারণার শেষ দিনে ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন শিল্পী। শিল্পীদের মনে প্যাচ নাই, যতটুকু পারব ততোটুকুই প্রতিশ্রুতি দেব। আপনাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে আমি সংসদে বলব। পাশাপাশি আপনাদের পাশে থেকে সেগুলো সংশোধন করা এবং সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।’
প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসন থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তার প্রতীক গামছা। এই গায়ক প্রথমবার সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন।
শেষ মুহূর্তে প্রচারণায় তিনি বলেন, ফেয়ার নির্বাচন ছাড়া আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা কি হতে চলেছে সেটা আপনারা সবাই জানেন। স্বয়ং প্রধারণ নির্বাচন কমিশন বলেছেন, এবার যদি ফেয়ার নির্বাচন না হয় তাহলে বাংলাদেশ বিচ্চিন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই ভোটের মাটে সুষ্টু নির্বাচন চাই। জনগণ যাকে চেছে নেবেন তিনিই জয়ের মালা পড়বেন। তবে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী এই সংগীত শিল্পী।


     এই বিভাগের আরো খবর